বিশ্বাসে ধোঁকা দেওয়ার গল্প - খবরের পাতা

ব্রেকিং

Post Top Ad

রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫

বিশ্বাসে ধোঁকা দেওয়ার গল্প

বিশ্বাসের ধোঁকা

Bisshasher Dhoka - Bhalobashar Golpo


বিশ্বাসের ধোঁকা - ১


ছেলে : তুমি আমাকে বিলিভ করো না বাবু?
মেয়ে: বিলিভ করি বলেই তো তোমাকে মন দেহের সব দিয়ে দিয়েছি
ছেলে: Ummm আমার লক্ষী বাবুটা
মেয়ে: এসব ভিডিও করার কি দরকার?
ছেলে: বাবু আমি আমাদের জীবনে আনন্দঘন মুহূর্ত গুলোকে স্মৃতি করে রাখতে চাই। আর সমস্যা কি এই ভিডিওটা তো শুধুমাত্র আমার কাছে থাকবে।
এভাবে তাদের রিলেশনের দিনগুলো চলতে থাকে একদিন বিছানায় দুজনে শুয়ে আছে মেয়েটি ছেলেটিকে বললঃ
মেয়ে: বাবু আমরা বিয়ে করছি কবে?
ছেলেঃ এইতো বাবু নতুন একটা ব্যাবসা শুরু করতে যাচ্ছি। ব্যাবসাটা দাড় করাতে পারলেই আমরা বিয়ে করে ফেলবো । কিন্তু কিছু টাকার জন্য ব্যবসা শুরু করতে পারছি না।
মেয়েঃ কত টাকা লাগবে?
ছেলেঃ প্রায় 50,000 টাকা।
মেয়েঃ তুমি কোন চিন্তা করো না আমি ব্যবস্থা করে দিবো।
ছয় মাস পর 
মেয়েঃ অনেক দিন তো হয়ে গেল। তোমার ব্যবসাও ভালো চলছে চলনা বাবু এবার আমরা বিয়ে করে ফেলি।
ছেলেঃ বিয়ে মানে !
মেয়েঃ বিয়ে মানে বিয়ে!
ছেলেঃ ছেলেমানুষি করো না। প্রেম করেছে বলে কি বিয়ে করতে হবে? টাইম পাস করেছি, তুমিও মজা পাইছো আমিও মজা পাইছি। ইটস জাস্ট ফান বেবি।
মেয়েঃ কী বলছো তুমি এসব! তুমি এমন করতে পারো না।
ছেলেঃ দেখো বাদ দাও। আর বেশি কথা বললে ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে ছেড়ে দিব।
মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে চলে গেলো।।


বিশ্বাসের ধোঁকা -২ ( শেষ পর্ব)


ব্রেকআপের  3 মাস পর মেয়েটির বান্ধবী এক দিন মেয়েটিকে ফোন দেয়।
বান্ধবীঃ কি রে কি অবস্থা তোর?
মেয়েঃ এইতো ভালো।
বান্ধবীঃ তোরা কি বিয়ে করেছিস নাকি।
মেয়েঃ নারে দোস্ত। প্রায় তিন মাস হয় ওর সাথে আমার ব্রেকআপ হয়েছে।
বান্ধবীঃ ইন্টারনেটের তোর আর তোর বয়ফ্রেন্ডের এসব কি দেখছি!
মেয়েঃ মানে! কি দেখছিস?
বান্ধবীঃ ওয়েট, লিংক পাঠিয়ে দিচ্ছি।
মেয়েটি ইন্টারনেটে ভিডিওটা দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। রিলেশনে থাকা অবস্থায় বয়ফ্রেন্ডের সাথে ফিজিক্যাল করার সময় ওর বয়ফ্রেন্ডের মোবাইলে করা ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল।মেয়েটি তার এক্স বয়ফ্রেন্ড কে ফোন দেয় কিন্তু নাম্বার অফ। ফেসবুকে নক করতে গিয়ে দেখে তাকে ব্লক মেরে রেখেছে। মেয়েটি এখন কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলো না।
আত্মীয় স্বজনরা তাকে ফোন দিয়ে নানান কথা শোনাতে লাগল। পাড়া-প্রতিবেশীরা রাস্তাঘাটে তাকে দেখলে বিভিন্ন বাজে কথা বলাবলি করে।
মেয়েটি ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিল। সারাদিন মনমরা হয়ে দরজা আটকে রুমে বসে থাকে।
সমাজে মুখ দেখাতে না পেরে ফ্যামিলির লোকজন মেয়েকে অনেক শাসন আর ভৎসনা করতে লাগলো। এই পৃথিবী এই সমাজের মানুষ হয়েও মেয়েটির মনে হল সে ভিনগ্রহের কলঙ্কিত অভিশপ্ত কোন এক প্রাণী, যার এই ভদ্র সমাজে বেঁচে থাকার নুন্যতম অধিকার নেই। তিন দিনের মাথায় মেয়েটি আত্মহত্যা করল

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad