গল্পটা হারানো প্রেমের-২
আপুটার সাথে একই অফিসে চাকরি করতো ছেলেটা।
তারা দুজন একই পোস্টে পাশাপাশি ডেস্কে কাজ করতো।
আপুটার অনেক কাজেই হেল্প করতো ছেলেটা।
এতে করে তাদের মধ্যে একটা সখ্যতা গড়ে উঠে। একটা সময় তাদের এই সখ্যতা পরিনত হয় ভালোবাসায়। আপুটা অনেক ভালোবাসতো ছেলেটাকে। ছেলেটাও বাসতো।
যেহেতু তারা দুজনেই চাকরি করে এবং একই অফিসে চাকরি করে সেহেতু তাদের প্রেমের মধ্যে কোন বাধাই ছিলনা। তাদের যেখানে ইচ্ছা সেখানেই ঘুরতে যেত যা ইচ্ছা তাই করতে পারতো। অফিস ছুটির পর প্রতিদিন তারা একসাথে ঘুরে আড্ডা দিয়ে অনেক রাত করে বাসাই ফিরত।
দুজনের মধ্যে ফিজিকেল রিলেশনও হয়।
এভাবে যতই দিন বাড়তে থাকে তাদের ভালোবাসাটাও আরো গাঢ় হতে থাকে। এমন সময় আসে আরেকটি সুখবর। ছেলেটা ভালো একটা কম্পানিতে বড় পোস্টে চাকরি পায়। আপুটা থেকে যায় আগের অফিসেই।
দুইজন দুই অফিসে চাকরি করলেও তাদের ভালোবাসার মধ্যে দুরত্ব বাড়েনি। ছেলেটার অফিস ছুটির পর আপুটার অফিসের সামনে এসে আপুটাকে নিয়ে আগের মতই ঘুরে আড্ডা দেয়।
ভালই চলছে সবকিছু। দুজনে সিদ্ধান্ত নিলো এবার ঈদে বাড়ীতে গিয়ে তারা তাদের বিয়ের কথা ফ্যামিলিতে বলে খুব শিঘ্রই বিয়েটা সেরে ফেলবে।
ঈদের ছুটিতে তারা দুজনেই গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়।
দুজনের বাড়ি ছিলো দেশের দুই অঞ্চলে।
চাঁদ রাতে অনেক রাত জেগে দুজনে মোবাইলে কথা বলে। ঈদের দিন সকালে দুজনে মোবাইলে কথা বলতে বলতে একসাথে ঈদের সেমাই খায়। ছেলেটি বলল এখন ঈদের নামাজ পড়তে যাবো। নামাজ শেষ করে তোমাকে ফোন দিবো।
ঈদের দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা আসে কিন্তু ছেলেটা আর ফোন দেয়না। আপুটা ছেলেটার মোবাইলে কল দেয় কিন্তু ছেলেটা ফোন পিক না করে কলটা কেটে দেয়।
আপুটা বারবার কল দিতে থাকে ছেলেটাও বারবার কল কেটে দেয়। একটা সময় ছেলেটা তার মোবাইল বন্ধ করে ফেলে।
আপুটা অনেক দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। কিন্তু করার কিছুই ছিলোনা।
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় এসে আপুটা ছেলেটার অফিসে গিয়ে খুঁজ নিয়ে জানতে পারে ছেলেটা আরো কয়েকদিন পর অফিসে আসবে।
কারন জানতে চাইলে অফিসের লোকটা বলে, ওনার স্ত্রীর সীজার হয়েছে। স্ত্রী-সন্তানের দেখাশোনার জন্য ওনাকে স্ত্রীর পাশে হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে।
হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিলেই ওনি ঢাকায় চলে আসবেন।
আপুটার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। ওনি আর কোন কথা বলতে পারলেন না। এই ঢাকা শহরটাকে তার কাছে মনে হলো দম বন্ধ হয়ে আসা এক যন্ত্রনাময় নগরী।
তিনি চাকরি ছেড়ে গ্রামে চলে যান। গ্রামে গিয়ে একটা কিন্ডার গার্ডেনে শিক্ষকতা শুরু করেন।
বছরের পর বছর কেটে যাচ্ছে। আপুটার চঞ্চল সুদর্শন চোখ দুটো ঢেকে গেছে চশমার আড়ালে। বিয়ে করেনি আপুটি।
তার নিঃসঙ্গ একা জীবনটা একাই বয়ে নিয়ে যাচ্ছে দিন থেকে দিনান্তে।
আপুটার অনেক কাজেই হেল্প করতো ছেলেটা।
এতে করে তাদের মধ্যে একটা সখ্যতা গড়ে উঠে। একটা সময় তাদের এই সখ্যতা পরিনত হয় ভালোবাসায়। আপুটা অনেক ভালোবাসতো ছেলেটাকে। ছেলেটাও বাসতো।
যেহেতু তারা দুজনেই চাকরি করে এবং একই অফিসে চাকরি করে সেহেতু তাদের প্রেমের মধ্যে কোন বাধাই ছিলনা। তাদের যেখানে ইচ্ছা সেখানেই ঘুরতে যেত যা ইচ্ছা তাই করতে পারতো। অফিস ছুটির পর প্রতিদিন তারা একসাথে ঘুরে আড্ডা দিয়ে অনেক রাত করে বাসাই ফিরত।
দুজনের মধ্যে ফিজিকেল রিলেশনও হয়।
এভাবে যতই দিন বাড়তে থাকে তাদের ভালোবাসাটাও আরো গাঢ় হতে থাকে। এমন সময় আসে আরেকটি সুখবর। ছেলেটা ভালো একটা কম্পানিতে বড় পোস্টে চাকরি পায়। আপুটা থেকে যায় আগের অফিসেই।
দুইজন দুই অফিসে চাকরি করলেও তাদের ভালোবাসার মধ্যে দুরত্ব বাড়েনি। ছেলেটার অফিস ছুটির পর আপুটার অফিসের সামনে এসে আপুটাকে নিয়ে আগের মতই ঘুরে আড্ডা দেয়।
ভালই চলছে সবকিছু। দুজনে সিদ্ধান্ত নিলো এবার ঈদে বাড়ীতে গিয়ে তারা তাদের বিয়ের কথা ফ্যামিলিতে বলে খুব শিঘ্রই বিয়েটা সেরে ফেলবে।
ঈদের ছুটিতে তারা দুজনেই গ্রামের বাড়ীতে চলে যায়।
দুজনের বাড়ি ছিলো দেশের দুই অঞ্চলে।
চাঁদ রাতে অনেক রাত জেগে দুজনে মোবাইলে কথা বলে। ঈদের দিন সকালে দুজনে মোবাইলে কথা বলতে বলতে একসাথে ঈদের সেমাই খায়। ছেলেটি বলল এখন ঈদের নামাজ পড়তে যাবো। নামাজ শেষ করে তোমাকে ফোন দিবো।
ঈদের দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা আসে কিন্তু ছেলেটা আর ফোন দেয়না। আপুটা ছেলেটার মোবাইলে কল দেয় কিন্তু ছেলেটা ফোন পিক না করে কলটা কেটে দেয়।
আপুটা বারবার কল দিতে থাকে ছেলেটাও বারবার কল কেটে দেয়। একটা সময় ছেলেটা তার মোবাইল বন্ধ করে ফেলে।
আপুটা অনেক দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। কিন্তু করার কিছুই ছিলোনা।
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় এসে আপুটা ছেলেটার অফিসে গিয়ে খুঁজ নিয়ে জানতে পারে ছেলেটা আরো কয়েকদিন পর অফিসে আসবে।
কারন জানতে চাইলে অফিসের লোকটা বলে, ওনার স্ত্রীর সীজার হয়েছে। স্ত্রী-সন্তানের দেখাশোনার জন্য ওনাকে স্ত্রীর পাশে হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে।
হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিলেই ওনি ঢাকায় চলে আসবেন।
আপুটার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। ওনি আর কোন কথা বলতে পারলেন না। এই ঢাকা শহরটাকে তার কাছে মনে হলো দম বন্ধ হয়ে আসা এক যন্ত্রনাময় নগরী।
তিনি চাকরি ছেড়ে গ্রামে চলে যান। গ্রামে গিয়ে একটা কিন্ডার গার্ডেনে শিক্ষকতা শুরু করেন।
বছরের পর বছর কেটে যাচ্ছে। আপুটার চঞ্চল সুদর্শন চোখ দুটো ঢেকে গেছে চশমার আড়ালে। বিয়ে করেনি আপুটি।
তার নিঃসঙ্গ একা জীবনটা একাই বয়ে নিয়ে যাচ্ছে দিন থেকে দিনান্তে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন