ভোর রাতের দিকে বুকের ভেতরে চিনচিনে একটা ব্যথা অনুভব করে ঘুম ভেঙে গেলো । আগে কখনো এমন হয়নি । মনের অলিন্দে রুবির নামটি উচ্চারিত হবার সাথে সাথেই এমনটি হলো , চোখ মুখ কেমন যেনো ঝাপসা হয়ে গেলো , আর কি একটা গভীর মমতা বমির মতো মুখ দিয়ে উগরে পড়তে চাইলো । আসলেই কি এমনটি হবার কথা ছিলো ? রাতে কি ওকে স্বপ্নে দেখেছিলাম ? না , মনে করতে পারছি না । বিগত কয়টা দিনে ওর কথা কি মনে পড়েছিলো ? না , তেমন কিছুই তো ঘটেনি । রুবির সাথে তো আমার প্রেমের সম্পর্ক ও তেমন ভাবে গড়ে ওঠেনি , কিংবা গড়ে উঠতে উঠতে ভেঙে গিয়েছিলো । তাহলে আজ এমন গভীর মমতার সাথে ওর কথা মনে পড়ছে কেনো ? কেমন একটা নিবিড় বেদনা অনুভব করছি ওর জন্য ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে অবশ্য একটা কেমন কেমন ভাব হয়ে উঠছিলো । তো , সেটাতো আর বড় হতে পারলোনা । দ্বিতীয় বর্ষে উঠেই তো ওর বিয়ে হয়ে গেলো । আজ এমন লাগছে কেনো আমার ? তবে কি আমার অজান্তেই মনের এক কোণে অযত্নে এসে বাসা বেঁধেছে রুবি নামের মেয়েটি । এমন নিবিড় মমতা মাখানো ব্যথাতো মানুষ তাঁর ভালোবাসার মানুষের জন্যই অনুভব করে ।
অবশ্য রুবি আমাকে ভালোবাসতো । সেই ভালোবাসা আমি অনুভব করতে পারতাম । ও তো অনেক ভাবেই আমাকে বোঝাতে চাইতো । আমি বুঝতাম । বুঝতাম বলতে ওকে আমিও বুঝতে চাইতাম । ভেবেছিলাম আমাদের সম্পর্ক কেবল বন্ধুত্ব পর্যন্ত গড়াতে পারে , এর বেশি কিছু নয় । অবশ্য ওতো ভালোবাসার মতোই মেয়ে ছিলো । আর আমাকেও বুঝতো ভালো । আর তাই হয়তো আমিও ওকে ভালোবাসতাম কিংবা ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম । আমার সব ভালোলাগা গুলোই শেষ পর্যন্ত একটা গল্প হয়ে যায় । জীবন হয়ে ধরা দেয়না ।
প্রথম প্রেমে পড়ার বয়স পার করেছি অনেক আগেই , তবু এখনো যখনি যার প্রেমে পড়ি – মনে হয় প্রথম প্রেমে পড়ছি । কবে প্রথম প্রেমে পড়েছিলাম সে কথাও আর বলতে পারবোনা । আমার সব প্রথমের অনুভুতি একই । এর মধ্যে যে কটির নাম জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে তাঁর মধ্যে অন্যতম - রুবি । এটা কেমন করে হলো –সেটাই এখানে বলবার চেষ্টা করবো ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনেই রুবির সাথে আমার পরিচয় । ও পড়ে এসেছিলো হলুদ রঙের থ্রি-পিছ । হলুদ রঙে ওকে ঠিক হলদে পাখির মতোই মনে হয়েছিলো । আমি এমনিতেই লাজুক ,তারপর ও যখন আমার চোখের দিকে তাঁকিয়ে নামটি জানতে চাইলো আমার তখন প্রাণ যায় অবস্থা । আর এ লাজুকতার জন্যই হয়তো পরবর্তিতে ওর মনে স্থায়ী আসন পেয়েছিলাম । আমার অনুরোধে ও আরেকবার ঐ হলুদ পোশাকটি পড়ে এসেছিলো , তার একটি ছবি এখনো আমার কাছে আছে ।
ক্রমশ আমাদের সম্পর্ক যে অন্যদিকে মোড় নিচ্ছিলো , সেটা আমার আগে মনে হয় বন্ধুরাই টের পেয়েছিলো । ওরা আমাকে নানা ভাবেই ইঙ্গিত করতো , আর আমার সহজ মন আরো সহজেই আর্দ্র হয়ে যেতো । রুবি ওদের ছাঁদ-বাগান থেকে আমার জন্য প্রায় প্রতিদিন একটি করে ফুল নিয়ে আসতো । এই ফুল ছিলো আমার জন্য দেবীর আশীর্বাদের মতো । আমি সব ফুল বাসায় এনে আমার লেখার ডায়েরির মধ্যে রেখে দিতাম । এখনো একটি নীলকণ্ঠ ফুল তাঁর শুকনো সৌরভ নিয়ে আমার ডায়েরির পাতা লেপ্টে আছে । কি কারনে এটিকে এতো যত্নে রেখে দিয়েছি সেটা ক্রমশ বোঝা যাবে । আমার লেখালেখি , আমার ব্যক্তিত্ব ওকে মুগ্ধ করতে লাগলো । মুগ্ধতা ধীরে ধীরে ভালোবাসায় রুপান্তর হচ্ছিলো। আমরা একে অপরকে যে ভালোবাসি সেটা বুঝতে পারতাম - ও কিংবা আমি যখন ক্যাম্পাসে যেতাম না তখন । ও যেদিন ক্যাম্পাসে যেতো না সেদিন আমার সমস্ত ক্ষণ কেমন যেনো রঙহীন বর্ণহীন হয়ে যেতো । আর আমিও যেদিন যেতাম না , ওর ও নাকি এমন লাগতো । যতোটা না পড়ার টানে তার চেয়ে বেশি রুবির টানেই আমি ক্যাম্পাসে যেতে লাগলাম । এভাবেই চলতে পারতো । চলতে চলতে একসময় ফুল ফুটতো , পাঁপড়ি মেলে সে ফুলের সৌরভ ছড়িয়ে পড়তে পারতো । কিন্তু আমার অন্যসব প্রেমের মতোই এটাও পূর্ণতা পেলোনা ।
অনেকদিন রুবি কলেজে আসেনা । আমার মন কেমন কেমন করতে লাগলো । মনের মধ্যে একটি অলিখিত সত্য উঁকি মারতে লাগলো । সেই সত্যে ঘি ঢেলে দিলো আমারই আরেক সহপাঠী বন্ধু প্রীতম । ও থাকতো রুবিদের বাসার কাছাকাছি । প্রীতম বললো রুবির বিয়ে হয়ে গেছে । শুনে আমার বুকের মধ্যে একটা মোচড় দিয়ে উঠলো । আমি সত্যিই বিশ্বাস করতে লাগলাম রুবির বিয়ে হয়ে গেছে । কোনো রকম কান্না চাপা দিয়ে বললাম তুই মিথ্যা বলছিস । সম্ভবত প্রীতম আমার মনের অবস্থা বুঝতে পেরেছিলো , আমাকে ও আশ্বস্ত করলো রুবির বিয়ে হয়নি , ও আমার সাথে মজা করছিলো ।
এর কিছুদিন পর রুবি আবার নিয়মিত কলেজে আসতে লাগলো । আবার আমার হাত ধরে গোটা ক্যাম্পাস ঘুরে বেড়াতে লাগলো । আমার মনের ভেতর থেকে সন্দেহের মেঘ কেটে যেতে লাগলো । আর আমিও মনে মনে প্রস্তুত হতে লাগলাম ওকে বলে দেবো মনের কথা । এভাবে চলতে পারতো , কিন্তু আমার কপালে সুখ বেশিদিন সহ্য হয় না । আবার রুবির ক্যাম্পাসে আসা বন্ধ , আর ওর কোনো ফোনও ছিলো না তখন । আবার যোগাযোগ বন্ধ । আমার প্রতিটি দিন কাটতে লাগলো এক সীমাহীন দুশ্চিন্তায় । দিন পনেরো পরে রুবি কলেজে এলো কিন্তু সম্পর্কের সুতোয় কোথায় যেনো একটু গাঁটছাড়া ভাব লক্ষ করলাম । ও আর আগের মতো আমার সাথে মেশে না , আমি যে ওর আশ্রয় ছিলাম , ছিলাম ওর একান্ত বন্ধু , কোথায় গেলো সে অনুভব , সেই আকুতি । মনকে বোঝাই ভুলে যাও , কিছুতো ঘটেনি তেমন । কিন্তু মন কি আর আপনার মর্জিতে চলে ! কোন এক অদৃশ্য সুতো আমার মনকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলছিলো । কিছুতেই মনকে বোঝাতে পারছিলামনা । কি এক অভেদ্য জাল আমাকে ঘিরে ধরছিলো । ওই একটি নাম কিছুতেই মনের অলিন্দ থেকে মুছতে পারছিলাম না । আমার সমস্ত চিন্তা চেতনা ঘিরে বসবাস করতে লাগলো রুবি নামের মেয়েটি । কি এক নামহীন বন্ধনে আমি বাঁধা পড়ে গেলাম ।
সেদিন সকাল থেকেই ঝিরঝির বৃষ্টি নামছিলো । আমি কোনোদিন বৃষ্টির জন্য কলেজে যাওয়া বন্ধ করতাম না । ঐ দিনও গেলাম কলেজে । গত কয়েক দিনের মন খারেপের সাথে ঘুমহীনতা আমার শরীরকে অবশ করে ফেলেছিলো । এই হালকা বৃষ্টি যেনো মন ভালো করার বারতা নিয়ে ঐদিন এসেছিলো আমার কাছে । সকাল থেকেই মনে কেমন স্ফূর্তি লাগছিলো । কলেজে গিয়ে দেখলাম আমার আগেই রুবি চলে এসেছে । আজ ওকে খুব সুন্দর লাগছিলো । আমি ঠিক যেমনটি পছন্দ করি ও তেমনি ভাবে সেজে এসেছে । হালকা সাজে চোখে কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক – এই সাজেই মেয়েদের দেখতে আমি পছন্দ করি । ও আমার জন্য নীলকণ্ঠ ফুল নিয়ে এসেছিলো , সম্ভবত নিজেও পড়েছিলো নীল রঙের পোশাক । আমার সব ভালো লাগার সাজে ও এসেছিলো ঐ সময়ের সবচেয়ে দুঃখের খবর দিতে ।
কলেজ বারান্দার আলো আঁধারিতে দাঁড়িয়ে আমার সব থেকে কাছের কেউ হয়ে গিয়েও সেদিন ওই মুহূর্তের পর ও আমার কতো দূরের একজন হয়ে গেলো । এক মুহূর্তেই আমার শক্ত কঠিন বুকে আছড়ে পরে ও হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো , মুখে কিছুই বলতে পারছিলোনা । আমি কিন্তু বুঝেছিলাম - ঝড় এসেছে , একে আর থামানো যাবেনা । আমার সকল অনুভূতি গুলো ভোঁতা করে দিয়ে ও কোনো রকম কান্না থামিয়ে সেদিন যে কথাগুলো বলেছিলো ,তার সারমর্ম এরকম – ও এতোদিন কলেজে আসেনি তার কারন ওর একজনের সাথে বাগদান সম্পূর্ণ হয়ে গেছে । আর ঘটনাটা এতোটাই দ্রুতগতিতে ঘটেছিলো যে ও কোন কিছুই সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি । অনেকটা বাবা মায়ের আদর্শ মেয়ের মতো ।
সেদিন কি আমার পায়ের নিচে টলে উঠেছিলো ? আমার খরায় মরা চোখে কি কান্নার বান এসেছিলো ? নাকি কিছুই হয়নি ? আমি আসলেই তখনকার স্মৃতিগুলো মনে করতে পারিনা । শুধু মনে পরে আমিও ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছিলাম । আর বুকের ভেতরে স্বজন হারাবার বেদনা অনুভব করেছিলাম । কিছুই তো বলিনি কেউ কাউকে । এমনকি কোনো কথাও তো দেইনি । তা হলে এমন বাঁধভাঙা প্রেম কোথা থেকে এলো ? বুঝতে পারলাম দুজনে দুজনকে মনে মনে কতোটা ভালোই না বেসেছিলাম । শুধু হাত ধরে হেঁটেই এতোদূর , কোনোকিছু ঘটবার আগেই সব কিছু ঘটে গেলো ।
ঘটনাটা এখানেই শেষ হতে পারতো । আমি হয়তো ওর থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে পারতাম । এমনটাই তো হওয়া সমীচীন ছিলো । কিন্তু ঐ ঘটনার পর আমরা যেনো একে অপরের আরো কাছে চলে এলাম । না , প্রেমিক হিসাবে নয় , বন্ধু হিসাবে । দুজনে অলিখিত চুক্তি করলাম এই কথা আমরা এখনি কোনো বন্ধুকে বলবোনা । বরং তারপরে আমরা চলতে লাগলাম আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে , প্রেমিক-প্রেমিকার মতো । সব কিছুরই একটা সীমা থাকা উচিৎ , রুবির সীমা বাঁধা ছিলো । ওর বন্ধন ছিলো । আর আমি চিরবন্ধনহীন মানুষ । আমার তো কোনো বন্ধন নেই । রুবির জন্য আমিতো ছিলাম উপলক্ষ , ওর তো অবলম্বন ছিলো । আমি অবলম্বনহীন আর ঠিকানা বিহীন । আমি চলে গেলে রুবি অন্যজনের , আর ওতো অন্যজনেরই ছিলো । আমি ছিলাম নাটকের অভিনেতার মতো । কিন্তু জীবন তো আর নাট্যমঞ্চ নয় , অভিনয়ের পরের জীবনটা নিয়েও ভাবতে হয় । আবার ওর সরলতাকেও আমি অবহেলা করতে পারতাম না । এভাবেই অনেকদিন চললো । আমি আরো বেশি ভালোবাসলাম রুবিকে ।
কিন্তু সব কিছুরই একটা শেষ আছে । সেই শেষ কোথায় ? আমরা না জেনেই ঠিকানার খোঁজে মাঠে নামি , হয়ে উঠি পান্থজন । পথের শেষ জানিনা , শুরুও জানিনা । না জেনেই চলছি , নাকি কেউ চালাচ্ছে? পেছন থেকে তাড়া দিচ্ছে । পথ তো ছেড়ে দিতে হবে , পথ কখনো নিজের হয়না । ঐ পথে অন্য কেউ হেঁটে যাবে হয়তো ! মুছে যাবে আমার তোমার পায়ের চিহ্ন । শুধু চলার পথের দৃশ্যপট নিজের করে চিনে নিতে হয় । চলার পথে রুবি হেঁটে গেছে অন্য গন্তব্যে , আমার কাছে রয়ে গেছে চলার পথের দৃশ্যপটের স্মৃতি ।
রুবি এখন এক সন্তানের জননী , দেশের বাইরে থাকে । বলতে হবে মা-বাবার বাধ্য মেয়ে হয়ে ওঠাটাই ওর জন্য ভালো হয়েছে । সেদিনের ঐ অল্প ভুলটুকু রুবি না করলে আমার আর রুবির সম্পর্কের জল অনেক দূর অব্দি গড়াতো । সে ফল নিশ্চয় ভালো হতো না । আমি তো চেয়েইছিলাম ও সুখি হোক । আমার সে স্বপ্ন পূরন হয়েছে ।
রুবির সাথে শেষ দেখা হয়েছিলো গত বছরের মাঝামাঝিতে । কোনো একটা কাজে ঢাকা এসেছিলো । আমরা দুজনে কমলাপুর রেল-ইস্টিশন পর্যন্ত গিয়েছিলাম । ওর চট্টগ্রাম যাওয়ার টিকেট কাটতে । আসা যাওয়া মিলে চার ঘন্টার বেশি সময় আমি ওর সাথে ছিলাম । ও এক মুহূর্তের জন্যও আমার হাত ছাড়েনি। আমার কেনো জানি মনে হয়েছিলো এই হাত যদি চিরদিন আমাকে ছুঁয়ে থাকতো । এও মনে হয়েছিলো আর কোনোদিনই আমি এই হাত ছুঁতে পারবোনা । আমার ভেতরটা বোবা কান্নায় ভরে ওঠেছিলো । আমি ওর ভেতরটা পাঠ করেছিলাম , ও কি আমার মতোই ভাবেনি । আমার চোখের দিকে ও চেয়ে থাকতে পারছিলোনা । আমার বাম হাত ও নিবিড় আলিঙ্গনে বেঁধে জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখছিলো । নাকি ওর মন এই সব বাহ্যিকতা ছাড়িয়ে আরো সুদূরে পাখনা মেলেছিলো ? ভিড়ের মধ্যে আমি বারকয়েক হাত ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ও শিশুর সরলতা নিয়ে আরো শক্তভাবে আমার হাত আলিঙ্গন করেছিলো । আমি আর হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করিনি । মনে হচ্ছিলো ওর ভেতরে ভয় দানা বাঁধছে , কোনো কিছু হারানোর ভয় । আমাকে আর না পাওয়ার ভয় । এমন শিশু সুলভ নিষ্পাপ ভালো আমাকে আর কে বাসতে পারবে ?
বিদায় বেলায় ও আমাকে বলেছিলো তুমি আমার জীবনে না এলেই পারতে । আজকের দিনটার পর তোমাকে আর ভুলে থাকতে পারবোনা । তার মানে ও জেনে গিয়েছিলো এর পর ওর সাথে আমার আর দেখা হবার সম্ভাবনা কম ।
রুবি এখন কোথায় আছে , জানিনা । আমার সাথে রুবির আর দেখা হবে কিনা , জানিনা । এই লেখা রুবি কোনোদিন পড়বে কিনা , তাও জানিনা । ওকে তো আর কোনোদিনই বলতে পারবোনা “খুকি , আমি তোকে সারাটা প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি । আমার জীবনে তোকে ভীষণ দরকার ছিলো ।’’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন