ছোটবেলা থেকেই একসাথে বড় হয়েছে সিয়াম আর হ্যাপি। তারা একে অন্যের ভালো বন্ধু, যাকে বলে বেস্ট ফ্রেন্ড। এখন দুজনেই কলেজে পড়ে।
সময়ের পরিবর্তনে সিয়ামের হৃদয়ে বন্ধুত্বটা কখন যে ভালোবাসায় স্থান দখল করে সেটা সে টেরও পায়নি। তবে ইদানিং বুঝতে পারছে হ্যাপিকে শুধু বন্ধু হিসেবে নয় তার চেয়েও বেশী করে পেতে চায়।
হ্যাপির নাম্বার বিজি থাকলে অথবা ফেসবুকে কোন ছেলের সাথে সেলফি আপলোড দিলে, এসব দেখে সিয়ামের খুব কষ্ট লাগে। সে নিজের মনকে বুঝায়, হ্যাপি এখন শহরে পড়ে। শহরের ছেলে মেয়েরা একটু ফ্রি মাইন্ডের হয়। ও তো আর কারো সাথে প্রেম করছে না।
সিয়াম ভাবছে সে হ্যাপিকে প্রপোজ করবে। আবার ভয়ও পাচ্ছে। সে ভাবে আমি গ্রামের একটা কলেজে পড়ি আর ও পড়ে শহরে। আমার সাথে রিলেশন করবে হ্যাপি? পাছে যদি বন্ধুত্বটা নষ্ট হয়ে যায়! না থাক হ্যাপিকে এসব বলা যাবে না। একদিন সিয়াম আর হ্যাপি ফেসবুকে চ্যাট করছে।
সিয়ামঃ একটা কথা বলি?
হ্যাপিঃ বল।
সিয়ামঃ তুই কি কারো সাথে রিলেশন করিস?
হ্যাপিঃ আরেহ, তোকে তো বলাই হয়নি। জিসান নামের একটা ছেলের সাথে রিলেশন চলছে আমার। গুলশানে একটা বাড়ি আছে ওদের। জানিস একদিন ঐ বাসায় নিয়ে সারারাত আমাকে প্রেম শিখিয়েছে।হেব্বি চলছে আমাদের প্রেম।
সিয়াম আর কোনো রিপ্লাই দিতে পারেনি। একটা লাইক চিহ্ন দিয়ে অফলাইনে চলে যায়।
কয়েক মাস পরের ঘটনা। সেদিন রাতে সিয়ামকে ফোন দিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে হ্যাপি।
সিয়ামঃ কিরে কাঁদছিস কেন?
হ্যাপিঃ আমি নিঃস্ব হয়ে গেছিরে সিয়াম।
সিয়ামঃ কি হয়েছে তোর?
হ্যাপিঃ জিসান আমার সাথে প্রতারণা করেছে। হঠাৎ করেই কোন কারণ ছাড়া ও আমার সাথে ব্রেকআপ করে দিছে। এমন কি ওর আর আমার কিছু অন্তরঙ্গ ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দিছে। এখন আমার কি হবে! সুইসাইড করা ছাড়া আমার আর কিছু করার নেই।
সিয়াম ফোনটা কেটে দেয়। পরের দিন বিকেলে-
হ্যাপিঃ হ্যালো!
সিয়ামঃ কই তুই?
হ্যাপিঃ বাসায়। তুই?
সিয়ামঃ আমি ফার্মগেট।
হ্যাপিঃ ঢাকা আসলি কবে?
সিয়ামঃ বাস থেকে নামলাম মাত্র।
হ্যাপিঃ হঠাৎ ঢাকায় আসলে কি জন্য?
সিয়ামঃ এখনই বাসা থেকে বের হয়ে ফার্মগেট চলে আয়। তোকে নিয়ে কাজি অফিসে যাবো।
হ্যাপিঃ কেন?
সিয়ামঃ Will You Marry Me?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন