- জি স্যার জানি। ইনশাআল্লাহ আমার দ্বারা কোন ভুল হবে না।
- গুড৷ তাহলে কাল সকালে এই এড্রেসে চলে এসো।
- ওকে স্যার৷ আসি তাহলে।
- হুম।
সত্যি ভাগ্যের উপর নাকি আস্থা রাখলে তা কখনো বিফল হয় না। ঠিক এমনটাই হয়েছে রিহাদের সাথে। একটা কাজের খুব প্রয়োজন ছিল ওর। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোথাও কাজ পাচ্ছিল না৷ তারপর হঠাৎ করে একদিন ও চায়ের দোকানে বসে যখন খবরের পাতায় চাকরি খুঁজতে ছিল, ঠিক তখনই খবরের পাতার এককোণায় ওর চোখ আটকে যায়। ঢাকার সবচেয়ে বড় বিজনেসম্যান, জনাব আশরাফুল ইসলাম এর একজন ড্রাইভার লাগবে। বেতন মোটামুটি ভালো অংকেরই ছিল। রিহাদ আর কিছু না ভেবে সোজা এপ্লাই করে বসে৷ আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে চাকরিটা হয়ে যায়। তবে চাকরিটা হওয়ার জন্য ওকে অবশ্য অনেক পরীক্ষা দিতে হয়েছে। ওর ড্রাইভিং স্কিল দেখে আশরাফুল ইসলাম মুগ্ধ হয়েছিলেন। একমাত্র ওর ড্রাইভিং স্কিলের জন্যই ৩০০০ হাজার জনকে পিছনে ফেলে ও চাকরিটা পেয়েছে। জয়েনিং এই ত্রিশ হাজার টাকা বেতন রিহাদের। ও তাতেই খুশী।
রিহাদের বাবা-মা, ভাই-বোন কেউই নেই৷ এতিম ও। তবে ওর একজন দাদি আছে। সেই ওকে বড়ো করেছে। তার চিকিৎসার জন্যই মূলত এই চাকরিটা করা। রিহাদ নিজের জন্য কখনো বাঁচে না। নিজেকে নিয়ে কখনো ভাবেও না৷ ওর সবটা জুড়ে সবসময় অন্যের জন্য। দাদির ভালো চিকিৎসা দেওয়া জন্য এই চাকরিটার খুব প্রয়োজন ছিল। যেটা ভাগ্যের জোরে ও পেয়েছে।
রিহাদ আশরাফুল ইসলামের অফিস থেকে বের হয়ে সোজা হাসপাতালে চলে আসে। ৮০৩ নং কেবিনে ওর দাদি আছে। রিহাদ লিফট দিয়ে সোজা আট তলায় চলে যায়। লিফট থেকে বের হয়ে হাতের ডান পাশের কেবিনটায় ওর দাদি আছে। রিহাদ দেরি না করে ভিতরে ঢুকে পড়ে। দাদি শুয়ে আছে। তার শরীরটা বেশি ভালো না। রিহাদকে দেখে তিনি বলে উঠেন,
~ এসেছিস দাদাভাই। কই ছিলি সকাল থেকে? একবারও দেখি নি।
- দাদি একটা চাকরি নিয়েছি তোমাকে ভালো চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। তোমার আর কোন কষ্ট হবে না এখন থেকে।
~ হায়রে ছেলেটা! আর কতদিন অন্যের কথা ভাববি বল? নিজের কথা একটু ভাববি না? আমার ত এখন যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। আমার পিছনে তোর কষ্টের টাকা নষ্ট করবি?
- দাদি উল্টা পাল্টা কথা বইলো না। আমার এই জীবনটা তো তোমারই দেওয়া। তোমার জন্যই তো এতো কিছু দেখেছি। বাবা-মা দুইজনকে না দেখলেও তাদের ভালবাসা তুমি আমাকে দিয়েছো। অনেক কষ্ট করে নিজের ছেলের মতো করে এতো বড়ো করেছো। রাস্তায় ভিক্ষা করতাম। খাবারের জন্য কান্না করতাম। সেই তুমি আমাকে রাস্তা থেকে তুলে এনে নিজের ভাগের খাবারটা আমাকে খাইয়েছো। কই তখন তো তুমি নিজের কথা ভাবো নি। তাহলে আজ কেন আমি নিজের কথা ভাববো। আমার সব কিছুই তোমার জন্য। আর তোমার জন্য আমি সব কিছু করতে পারি সব৷
রিহাদের দাদির চোখ থেকে অঝোরে অশ্রু ঝরছে। ও দাদির চোখ দুটো মুছে দেয়৷ ওর দাদি ওর হাতটা ধরে কাঁপা কণ্ঠে বলে,
~ আজ তোর বাবা-মা তোর কাছে থাকলে তোকে নিয়ে অনেক গর্ব করতো রে। আমি দোয়া করি তোর সকল ইচ্ছা যেন পূরণ হয়। তুই যেন সারাজীবন সুখে থাকিস। আল্লাহ তোকে ভালো রাখুক।
- আমিন দাদি। এখন তুমি রেস্ট নেও৷ আমি আবার পরে আসবো। কাল থেকে চাকরিতে জয়েন করতে হবে। আমি ফ্রী হলেই তোমার সাথে দেখা করবো। চিন্তা কইরো না। ঠিক আছে?
~ আচ্ছা৷ সাবধানে থাকিস দাদাভাই।
- আচ্ছা। আসি আমি।
রিহাদ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে শপিং মলে চলে আসে। চোখের কোণায় জমে থাকা জলগুলো জনপরিবেশে আসার আগেই মুছে ফেলে। এ শহরে নোনা জলে কোন মূল্য নেই। নিতান্তই অভিনয় মনে করে সবাই। এ শহরে যার মন শক্ত পাথরের মতো সেই বেঁচে থাকে। রিহাদও নিজেকে নরম পালক থেকে শক্ত পাথরের পরিণত করতে চায়৷ তাহলে বোধহয় ও টিকে থাকতে পারবে৷ কালকের জন্য কিছু নতুন জামা কাপড় কিনে নেয় ও। কারণ ফার্স্ট ইম্প্রেশন ইজ দি লাস্ট ইম্প্রেশন। শপিং শেষ করে বাসায় চলে আসে ও।
একটা দুই রুমের বাসা। আগে এখানে দাদি আর ও থাকতো। কিন্তু এখন আর এখানে কেউ থাকবে না। দাদি হাসপাতালে ভর্তি। আর আশরাফুল ইসলামের কন্ট্রাক অনুযায়ী রিহাদকে তাদের বাসায় থাকতে হবে সবসময়। যাতে তার মেয়ে যখন যেখানে যেতে চাইবে সেখানেই যেন যেতে পারে। সেটা রাত ২ টা হলেও। রিহাদ সব জেনে শুনেই চাকরিটা নিয়েছে। আজ ২৩ তারিখ৷ আগামী মাসের ১ তারিখ এই বাসা ও ছেড়ে দিবে৷ বাসায় ছোট ছোট দুইটা বিছানা ছাড়া আর তেমন কিছুই নেই৷ সেগুলো বিক্রি করে দিবে রিহাদ। আপাতত জামা কাপড় যা আছে সব গুছিয়ে কালকের জন্য রেডি হয় ও। তারপর রান্না করতে চলে যায়।
দুপুর পেড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা পেড়িয়ে রাত নামে। রিহাদ বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে চা হাতে। রাতের আকাশ ওর খুব প্রিয়। এই বারান্দায় হয়তো এটাই ওর শেষ চা। রিহাদ শুধু অপেক্ষায় আছে কালকের। চা'টা শেষ করতেই ওর ফোনে একজনের কল আসে। তার সাথে কথা বলে ও ঘুমিয়ে পড়ে৷
পরদিন সকালে,
রিহাদ খুব সকালে উঠে সব কিছু নিয়ে আশরাফুল ইসলামের দেওয়া এড্রেসে চলে আসে। মেইন গেইট থেকে ভিতরে ঢুকতেই রিহাদ দেখে বিশাল বড়ো একটা বাড়ি। দূর থেকেই দেখে বুঝা যাচ্ছে অনেক টাকা খরচ হয়েছে বাড়িটা বানাতে। বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা বাড়িটা বানানো। রিহাদ আশেপাশে দেখতে দেখতে যখন বাড়িটার দিকে যাচ্ছিল তখন বাগান থেকে আশরাফুল ইসলামের কণ্ঠে ভেসে আসে।
পরবর্তী অংশ অর্থাৎ সবগুলো পর্ব এই I'd তে দেয়া হবে, পুরো গল্পটি পড়তে রিকুয়েস্ট দিয়ে সাথেই থাকুন। ভালো ভালো গল্প পেতে এই আইডির' সাথেই থাকুন!অনেক সময় গ্রুপে গল্প পোস্ট হয় না। তাই গ্রুপে গল্প পেতে সমস্যা হলে ফলো অথবা রিকুয়েস্ট দিয়ে রাখতে পারেন ধন্যবাদ।
- রিহাদ এসেছো। এদিকে আসো৷
- আসসালামু আলাইকুম স্যার৷
- অলাইকুম আসসালাম। শোনো তাসনুভা ১০ টায় ভার্সিটিতে যাবে৷ তুমি গাড়ি নিয়ে বাইরে থাকবে৷ আর সাইফুল তোমাকে সব বুঝিয়ে দিবে। সাইফুল ওকে ওর রুমে দিয়ে আসো। আর সব বুঝিয়ে দিও।
- ওকে স্যার।
সাইফুল চাচা রিহাদকে নিয়ে ওর রুমের দিকে আসেন। আসতে আসতে রিহাদকে বলেন,
- আমি স্যারের পার্সোনাল সেক্রেটারি। এটা তোমার রুম৷ আজ থেকে তুমি এখানেই থাকবে৷ আর শোনো তাসনুভা ম্যাম কিন্তু অনেক রাগী স্যারের মতো। কোন ভুল করা যাবে না। তাহলে চাকরি নট হয়ে যাবে। উনি যা বলবে তাই শুনবে৷ তোমাকে দেখেতো বেশ ভদ্র মনে হচ্ছে৷ এভাবেই থাকবে আশা করি।
- জি চাচা৷
- আর কোন সমস্যা হলে আমাকে বলবে৷
- আচ্ছা। একটা প্রশ্ন করতে পারি?
- হুম বলো।
- আপনি স্যারের সেক্রেটারি কত বছর ধরে?
- ২০ বছর। কেন?
- না এমনি। আপনাকে খুব ভালো মনে হচ্ছে। আমার বাবা থাকলে হয়তো আপনার বয়সেরই হতো।
- বেশ চালাকও দেখছি তুমি। আমাকে পাম দিচ্ছো না৷ কাজ হবে না। ঠিক মতো কাজ করো ভালো থাকবে।
- আচ্ছা৷
- আসি আমি।
সাইফুল চাচা চলে যান৷ বাগানের অপর পাশে ড্রাইভার, চাকর এবং যারা এই বাসায় থেকে কাজ করে তাদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক রুম করে। রিহাদ ওর আসবাবপত্র রুমে রেখে ওয়াশরুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে। বের হয়ে দেখে কে যেন এসে খাবার রেখে গিয়েছে। রিহাদ দ্রুত নাস্তা করে সাইফুল চাচার কাছে চলে যায়। রিহাদ একটা কালো প্যান্ট আর টিশার্ট পরেছে। কিছুটা তামিল নায়কের মতোই লাগছে। ড্রাইভার হিসেবে আলাদা কোন ড্রেসকোড না থাকায় রিহাদ যা ইচ্ছাই পরতে পারে।
সাইফুল চাচার কাছে এসে রিহাদ সালাম দেয়। চাচা রিহাদকে দেখতে দেখতে সালামের উত্তর দেয়। উনি বলেন,
- এ দেখি পুরা নায়ক সেজে বসে আছো। মাশাল্লাহ চেহারাও পুরা নায়কের মতো। এই তোমার উদ্দেশ্যটা কি বলো তো।
রিহাদ হাসে। আর বলে,
- চাচা আমার গাড়িটার চাবিটা দিন৷ আর গাড়িটাও চিনিয়ে দিন৷
- আচ্ছা। আসো আমার সাথে।
সাইফুল চাচা রিহাদকে গাড়িটা দেখিয়ে দেয়। বিএমডব্লিউর নতুন ভার্সন। রিহাদ গাড়িতে উঠে আস্তে আস্তে সব বুঝার চেষ্টা করে। সাইফুল চাচা ওকে সব বুঝিয়ে দেয়। তারপর ও গাড়ি নিয়ে বাইরে চলে এসে কিছুক্ষণ চালিয়ে ফ্রী হয়ে নেয়। এরপর গেইটের বাইরে তাসনুভার জন্য অপেক্ষা করে।
ঘড়িতে এখন সকাল ১০ টা বাজে। রিহাদ গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছিল। ডাক্তারের সাথে কথা বলে ফোনটা কান থেকে নামাতেই মিষ্টি একটা মেয়ালি কণ্ঠ ভেসে আসে। তবে কণ্ঠ মিষ্টি হলেও কথায় মিশে আছে বিরক্তির ছাপ।
~ এই কে আপনি? আমার গাড়ির সাথে দাঁড়িয়ে আছেন কেন?
রিহাদ পাশে তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে। আসলে শুধু একটা মেয়ে না, একটা পরীর মতো মেয়ে। হালকা ব্রাউন কালার করা চুলগুলো পিছনে কোমর পর্যন্ত ছাড়া। পরনে দামী ওয়েস্টার্ন ড্রেস। দুধের মতো ফরসা গায়ের রঙ। বড়ো বড়ো পাপড়ির আড়ালে মুক্তার মতো মায়াবী চোখ আর গোলাপের মতো নরম মিষ্টি ঠোঁট। এটা নিশ্চিত তাসনুভা৷ রিহাদ মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে। মুভিতে এরকম নায়িকা দেখেছে। কিন্তু বাস্তবে নিজের চোখের সামনে দেখবে তা ও কল্পনাও করে নি। তাসনুভা রিহাদকে থ মেরে থাকতে দেখে বলে,
~ এই এন্সার দেন না কেন? কে আপনি?
- জি না মানে, ম্যাম আমি আপনার পার্সোনার ড্রাইভার। আজকে সকালে জয়েন করেছি। এখন থেকে আপনি যেখানে যেতে চাইবেন আমি আপনাকে নিয়ে যাবো।
~ ওহ বাবা...তাকে নিয়ে আর পারলাম না। সো ডিজগাস্টিং। বললাম আমার কোন ড্রাইভার লাগবে না। তারপরও। আমার কোন ফ্রীডমই নেই।
রিহাদ মাথা নিচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। তাসনুভা ওকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে বলে,
~ কি আমার ড্রাইভার! পোশাকে তো মনে হচ্ছে রাজপুত্র। তা গাড়ি চালাতে পারেন তো? নাকি জামা কাপড় পড়ে এরকম পোছ দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন?
খোঁচাটা রিহাদের বেশ লাগে। কিন্তু সবটা গিলে নেয় ও। আস্তে করে বলে,
- জি ম্যাম পারি। আসুন আপনাকে ভার্সিটি দিয়ে আসি।
বলেই গাড়ির গেইট খুলে দেয় রিহাদ। তাসনুভা বিরক্তি নিয়ে গাড়িতে উঠে। রিহাদ গাড়ির দরজা লাগিয়ে দিয়ে দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস নেয়। তারপর ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসে। সবার প্রথম লুকিং গ্লাসটা এমন ভাবে সেট করে যাতে তাসনুভাকে সামনে বসে ভালো ভাবে দেখা যায়৷ তাসনুভা কিছু বলতে গিয়েও বলে না। রিহাদ গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলতে শুরু করে৷ ভার্সিটি আসার মাঝামাঝি পথ অতিক্রম করলে তাসনুভার ফোন বেজে উঠে। তাসনুভা রিসিফ করে বলে,
~ হ্যাঁ দোস্ত বল।
~ কিরে কই তুই? এখনো আসিস না কেন?
~ আরে আমি গাড়িতে, চলে আসছি তো। আর একটু পথ আছে।
~ গাড়িতে মানে তুই চালিয়ে আসছিস?
~ আরে আর বলিস না, বাবা পাগল ছাগল ড্রাইভার রাখছে আজকে থেকে। সেই নিয়ে আসতাছে আমাকে।
~ হাহা। আচ্ছা আয় তাড়াতাড়ি।
রিহাদ তাসনুভার কথা শুনে চুপ করে বসে থাকে। ওকে পাগল ছাগল বলল তাসনুভা। রিহাদ ভালোই বুঝতে পারছে যে ওকে ধান ভেঙে খেতে হবে। তাসনুভা রাগী ভাবে বলে,
~ এতো আস্তে চালাচ্ছেন কেন? গাড়ি কি চালাতে পারেন না নাকি? দ্রুত চালান। আপনার চেয়ে তো রিকশা এগিয়ে যাচ্ছে। যতসব রাবিশ লোকজন।
রিহাদ খুব কষ্টে রাগটা কন্ট্রোল করে রাখে। আর স্বাভাবিক ভাবে বলে,
- ওকে ম্যাম।
এরপর শুরু করে রিহাদ গাড়ি চালানো। এতো জোরে গাড়ি চালায় যে তাসনুভা ভয়ে কাচুমাচু দিয়ে যায়। কিন্তু সেলফ রেস্পেক্ট এর জন্য কিছু বলে না। মাত্র ৫ মিনিটে রিহাদ বাকি পথ পার করে ভার্সিটি চলে আসে। একটা ছোট্ট ড্রিফট দিয়ে রিহাদ গাড়ি পার্ক করে। আর নেমে গাড়ির দরজা খুলে দেয় তাসনুভার জন্য৷ তাসনুভা ভয়ে দ্রুত গাড়ি থেকে নামে। বেচারি সেই ভয় পেয়েছে৷ তাসনুভা রাগী ভাবে রিহাদের দিকে তাকায়। রিহাদে মুখে বিজয়ের হাসি দিয়ে তাকিয়ে থাকে। ভার্সিটির বাকিরা ওদের এরকম এন্ট্রি দেখে তাকিয়ে থাকে।
লেখাঃ মি. টম
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন