উচ্চ মাধ্যমিক সমাজ বিজ্ঞান
- ইমরান ইভান
আজকে আপনাদের সামনে কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই।
এই বিষয়গুলো যুগ যুগ ধরে আমাদের সমাজে ভূতের মত চেপে বসে আছে।
আমাদের বোধের, কর্মের, মস্তিষ্কের এসব দুরারোগ্য ব্যাধিগুলোর প্রতিষেধক কি?
সতেরো বছরের মেয়েটি যখন ধর্ষিত হলো,
তখন আপনারা এর প্রতিবাদ, নিন্দা জানিয়েছেন ঠিক।
স্যোসাল মিডিয়াতে মেয়েটির ছবি সমেত বড় বড় নীতিকথার জ্বালাময়ী পোস্ট করেছেন।
তারপর ধীরে ধীরে সব ভুলে গেলেন।
আপনারা মেয়েটিসহ তার পরিবারের মানসিক এবং সামাজিক সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি।
অনেকেই আবার মেয়েটির পোশাক, চাল-চলন নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
কিন্তু প্রাথমিকে পড়ুয়া বালিকা এমনকি বালক শিশুও যখন বলৎকারের শিকার হয় তখন তাদের কিসের বেপর্দার অপরাধ ছিলো।
এই প্রশ্ন কার কাছে করবো। এর সদুত্তর কোথায় পাবো।
এখানে নারী নির্যাতন নিত্যদিনের ডালভাত,
মানসিক ভাবে নির্যাতিত হচ্ছে পুরুষেরাও।
আসলে সমস্যাটা কোথায়?
সবার ঘরেইতো নারী আছে মা-মেয়ে, বোন কিংবা স্ত্রী।
আমরাই কেবল সত্যিকারের বাবা-ছেলে, ভাই এবং স্বামী হয়ে উঠতে পারিনি।
খুন হওয়া মানুষটির হাড়-মাংস পঁচে মাটিতে মিশে গেলেও, খুনি সদলবলে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আদালত পাড়ায় সত্য কথার চেয়ে টাকার কথা চলে বেশি।
সুবিচার অন্ধকার রাতের মত কাথা মুড়ি দিয়ে সযতনে ঘুমিয়ে আছে।
এ বিচার কার কাছে দিবো? কে করবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা?
কে বড় অপরাধী, ঘুষ গ্রহীতা নাকি ঘুষ দাতা?
সুদের কীস্তির সহজ শর্তে সহজেই মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে।
প্রতারনার ফাঁদে পড়ে অনেকে সর্বস্ব হারাচ্ছে
রমরমা মাদক আর অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে কেঁপে উঠছে চারপাশ।
কোথায় থেকে কিভাবে আসে এসব। নাটের গুরু কারা?
এতো এতো দুর্নীতি অপরাধ কেনো রোধ করা যাচ্ছেনা?
সারাদিন কায়ক্লেশে খেটে মৌলিক চাহিদা মেটানো যাচ্ছেনা।
আর ওদিকে কারো কারো আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।
সিন্ডিকেট করে পন্য মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকটের অজুহাতে নিত্যপন্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে,
কিন্তু আয় বাড়েনি দিনমজুর, চাকুরীজীবি ও সাধারন মানুষের।
এখানে সবকিছুর দাম চড়া কেবল মানুষই সস্তা।
কেউ পাবে কেউ পাবেনা, এমন অসম বণ্টন বন্ধ করুন।
আমার বাজেটের অংশ কোথায়? আমার মাথাপিছু আয়ের হিসাব কার পকেটে?
সামপ্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা কিসের জন্য।
সৃষ্টিকর্তা ধর্ম পাঠিয়েছেন শান্তির জন্য,
আপনারা যে এটা নিয়ে অশান্তি করছেন,
তার কাছে কি জবাব দিবেন?
কেনো মানুষে মানুষে এতো বিভেদ, হিংসা-বিদ্বেষ, সহিংসতা?
মানবিকতা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ সবকিছু ভেসে যাচ্ছে বানের জলে।
চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি-ছিনতাই, গুম-হত্যা, পাচার-জালিয়াতি কি নেই সমাজটাতে?
কে দিবে এইসব অসুখের ঔষধ? এই দায়িত্ব কার?
এই দায়িত্ব আপনাদের।
হ্যা আপনাদেরই।
আপনারই পারেন দুরারোগ্য ব্যাধিগুলো প্রতিরোধ করতে।
এখানে আপনারা মানে আমি,
আমি মানে আমরা সবাই।
এই বিষয়গুলো যুগ যুগ ধরে আমাদের সমাজে ভূতের মত চেপে বসে আছে।
আমাদের বোধের, কর্মের, মস্তিষ্কের এসব দুরারোগ্য ব্যাধিগুলোর প্রতিষেধক কি?
সতেরো বছরের মেয়েটি যখন ধর্ষিত হলো,
তখন আপনারা এর প্রতিবাদ, নিন্দা জানিয়েছেন ঠিক।
স্যোসাল মিডিয়াতে মেয়েটির ছবি সমেত বড় বড় নীতিকথার জ্বালাময়ী পোস্ট করেছেন।
তারপর ধীরে ধীরে সব ভুলে গেলেন।
আপনারা মেয়েটিসহ তার পরিবারের মানসিক এবং সামাজিক সম্মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি।
অনেকেই আবার মেয়েটির পোশাক, চাল-চলন নিয়ে সমালোচনা করেছেন।
কিন্তু প্রাথমিকে পড়ুয়া বালিকা এমনকি বালক শিশুও যখন বলৎকারের শিকার হয় তখন তাদের কিসের বেপর্দার অপরাধ ছিলো।
এই প্রশ্ন কার কাছে করবো। এর সদুত্তর কোথায় পাবো।
এখানে নারী নির্যাতন নিত্যদিনের ডালভাত,
মানসিক ভাবে নির্যাতিত হচ্ছে পুরুষেরাও।
আসলে সমস্যাটা কোথায়?
সবার ঘরেইতো নারী আছে মা-মেয়ে, বোন কিংবা স্ত্রী।
আমরাই কেবল সত্যিকারের বাবা-ছেলে, ভাই এবং স্বামী হয়ে উঠতে পারিনি।
খুন হওয়া মানুষটির হাড়-মাংস পঁচে মাটিতে মিশে গেলেও, খুনি সদলবলে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আদালত পাড়ায় সত্য কথার চেয়ে টাকার কথা চলে বেশি।
সুবিচার অন্ধকার রাতের মত কাথা মুড়ি দিয়ে সযতনে ঘুমিয়ে আছে।
এ বিচার কার কাছে দিবো? কে করবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা?
কে বড় অপরাধী, ঘুষ গ্রহীতা নাকি ঘুষ দাতা?
সুদের কীস্তির সহজ শর্তে সহজেই মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে।
প্রতারনার ফাঁদে পড়ে অনেকে সর্বস্ব হারাচ্ছে
রমরমা মাদক আর অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে কেঁপে উঠছে চারপাশ।
কোথায় থেকে কিভাবে আসে এসব। নাটের গুরু কারা?
এতো এতো দুর্নীতি অপরাধ কেনো রোধ করা যাচ্ছেনা?
সারাদিন কায়ক্লেশে খেটে মৌলিক চাহিদা মেটানো যাচ্ছেনা।
আর ওদিকে কারো কারো আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ।
সিন্ডিকেট করে পন্য মজুদ রেখে কৃত্রিম সংকটের অজুহাতে নিত্যপন্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে,
কিন্তু আয় বাড়েনি দিনমজুর, চাকুরীজীবি ও সাধারন মানুষের।
এখানে সবকিছুর দাম চড়া কেবল মানুষই সস্তা।
কেউ পাবে কেউ পাবেনা, এমন অসম বণ্টন বন্ধ করুন।
আমার বাজেটের অংশ কোথায়? আমার মাথাপিছু আয়ের হিসাব কার পকেটে?
সামপ্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা কিসের জন্য।
সৃষ্টিকর্তা ধর্ম পাঠিয়েছেন শান্তির জন্য,
আপনারা যে এটা নিয়ে অশান্তি করছেন,
তার কাছে কি জবাব দিবেন?
কেনো মানুষে মানুষে এতো বিভেদ, হিংসা-বিদ্বেষ, সহিংসতা?
মানবিকতা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ সবকিছু ভেসে যাচ্ছে বানের জলে।
চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি-ছিনতাই, গুম-হত্যা, পাচার-জালিয়াতি কি নেই সমাজটাতে?
কে দিবে এইসব অসুখের ঔষধ? এই দায়িত্ব কার?
এই দায়িত্ব আপনাদের।
হ্যা আপনাদেরই।
আপনারই পারেন দুরারোগ্য ব্যাধিগুলো প্রতিরোধ করতে।
এখানে আপনারা মানে আমি,
আমি মানে আমরা সবাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন