দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দি সি - আর্নেস্ট হেমিংওয়ে - খবরের পাতা

ব্রেকিং

Post Top Ad

রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫

দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দি সি - আর্নেস্ট হেমিংওয়ে

বই রিভিউ
The Old Man and the Sea - Book by Ernest Hemingway

“কেমন হত আমরা যদি পানিতে মাছের ধরার মত আকাশের চাঁদ তারা ধরতাম! তাহলে  মাছেদের মত চাঁদটা যেতো পালিয়ে”।
বলছিলাম আর্নেস্টহেমিংওয়ের “দি ওল্ড ম্যানঅ্যান্ড দি সি” উপন্যাসের একটি ডায়লগ।
আর্নেস্টহেমিংওয়ে “দি ওল্ড ম্যানঅ্যান্ড দি সি”এইউপন্যাসটি লিখেন ১৯৫১ সালে এবং এটি প্রকাশিত হয় ১৯৫২ সালে। ১৯৫৩ সালে এটি  পুলিৎজারপুরস্কার জিতে । তার পরেরবছর ১৯৫৪ সালে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান ।
বাংলাভাষায় আর্নেস্ট হেমিংওয়ের “দি ওল্ড ম্যানঅ্যান্ড দি সি”-এরঅনুবাদ করেছেন
ফতেহ্ লোহানী।

চরিত্রঃ
১।জেলে সান্টিয়াগো- বুড়ো এবং খুবই অভিজ্ঞ একজন জেলে
২।ম্যানোলিন - ছোট ছেলে যে বুড়ো সান্টিয়াগোরদেখাশোনা করে
৩।মারলিন মাছ - অতিকায় একটি মাছ

একজনবুড়ো জেলের সাগরে মাছ ধরার গল্প নিয়ে লিখা উপন্যাসটি মূলত একজন মানুষের হার না মানা জীবনের প্রতিক
একজনবয়স্ক জেলে যিনি কিউবায় বাস করেন ।
গালফস্ট্রীমের স্রোতে ছোট্ট জেলে নৌকা ভাসিয়ে একাকী মাছ ধরে বেড়ায় বুড়ো সান্তিয়াগো।
৮৪দিন ধরে ঘুরছে সে সমু্দ্রের বুকে,  কিন্তুকোন মাছ পায় নি ।  তার সাথে যে ছোট ছেলেটাকাজ করতো তার নাম ম্যানোলিন।
 ম্যানোলিনের বাবা মা মনে করেবুড়ো টা অপয়া। তাইতাদের ছেলে কে অন্য নৌকায়পাঠিয়ে দেয়।
এবংছেলেটা  ওখানেযাওয়ার ১ম সপ্তাহে  বড় বড় তিনটি মাছধরে ফেলল। কিন্তু প্রতিদিন  বুড়োলোকটিকে খালি নৌকা নিয়ে ফিরতে হতো। 

কিন্তুউনার কাছে এই ব্যর্থতা আসলেব্যর্থতা নয় বরং জীবনযুদ্ধের আরেকটি ধাপ মাত্র ।
উনিসিদ্ধান্ত নিয়ে নেন যে উনি অনেকদূরের সাগরের জলে যাবেন যেখানে অনেক বড় বড় মাছপাওয়া যায় ।
যেইভাবা সেই কাজ । পরের দিনঠিকই বের হয়ে পড়েন দূর সাগরের উদ্দেশ্যে এবং জীবনে দেখা সবচেয়ে বড় মারলিন মাছটিতিনি দেখতে পান এখানে ।
এইমাছটিকে নিয়েই শুরু হয়ে এবার গল্পের এক নতুন মাত্রা। এই মাত্রায় মাছটিকেধীরে ধীরে শিকারে পরিণত করা,
মাছটিধরার জন্য জেলেটির ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং শিকার ও শিকারীর মাঝেশিকার চলাকালীন সময়ে গড়ে উঠা এক গল্প বর্ণনাকরা হয়েছে ।

জীবনমানেই যুদ্ধ করা, সে যুদ্ধে জয়লাভকরা নয়। তিনি ৮৪ দিন নৌকানিয়ে বের হয়েছে কিন্তু ধরে আনতে পারেননি একটি মাছও ।
এইঅপবাদে তিনি তাঁর জেলেপাড়ার সবচেয়ে অলক্ষ্মী জেলেতে পরিণত হন । কিন্তুএতকিছুও তাঁকে দমাতে পারেনি । তিনি শিকারকরেছেন সবচেয়ে বড় মারলিন মাছএকাই ।
৩দিন একটানা প্রকৃতি এবং নিজের শরীরের সাথে যুদ্ধ করে গিয়েছেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় মাছটি শিকারকরার জন্য ।

পরিশেষেসফল না ব্যর্থ হয়েছেনসে বিষয়ে তেমন চিন্তিত ছিলেননা বরং তাঁর জোড়া নীল চোখে ছিল স্বপ্ন

©ইমরান ইভান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad