মেয়েটির কলেজে যাওয়ার রাস্তায় প্রতিদিন দাড়িয়ে থাকতো ছেলেটি।
কাঠফাটা রোদ মাথায় নিয়ে দাড়িয়ে থাকতো। বৃষ্টিতে মেয়েটি যখন মাথায় ছাতা নিয়ে বান্ধবীদের সাথে কলেজে জেতো, ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে ছেলেটি তখনও দাড়িয়ে থাকতো।
এভাবে মেঘ-বৃষ্টি, রোদের খেলায় অনেকদিন কেটে যায়। কিন্তু ছেলেটি তার মনের কথা মেয়েটিকে বলতে পারেনা।
একদিন সাহস করে ছেলেটি তার মনের কথা মেয়েটিকে বলে দেয়।
মেয়েটি কিছুক্ষন চুপ করে থাকে। তারপর বলে আমাকে ৭ দিনের সময় দিতে হবে।
এই ৭ দিন তুমি এখানে এসে দাড়িয়ে থাকতে পারবেনা।
৭ দিন পর ঠিক এই সময়, এই জায়গায় তুমি তোমার উত্তর পাবে।
ছেলেটি বাড়ি চলে আসে এবং সাতদিন শেষ হওয়ার অপেক্ষা করতে থাকে।
এখনের প্রতিটা সেকেন্ড যেনো সহস্র বছরের মত দীর্ঘ লাগছে ছেলেটির।
ছেলেটার দিন কাটে তো রাত কাটেনা, রাত কাটে তো দিন কাটেনা।
অবশেষে অদৃশ্য অস্থিরতার পর শেষ হয় প্রতীক্ষার ৭ দিন।
ছেলেটি আজ অনেক আগেই মেয়েটির কলেজের রাস্তায় গিয়ে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছে। সেদিন আকাশে মেঘ ছিল। টিপ টিপ করে ঝরছে মেঘের কান্না।
সেই মেঘের কান্নায় ভিজছে ছেলেটি।
ছেলেটি দেখল মেয়েটির একজন বান্ধবী তার দিকে হেটে আসছে।
মেয়েটির বান্ধবী ছেলেটির কাছে এসে ছেলেটির হাতে একটা চিঠি দিল।
ছেলেটি চিঠি খুলে পড়তে শুরু করে-
“ এই চিঠিটা যখন তোমার হাতে পৌঁছুবে তখন আমি তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে । তুমি কেন প্রতিদিন আমার কলেজের রাস্তায় দাড়িয়ে থাকতে আমি বুঝতে পাড়তাম। প্রথম প্রথম বিরক্ত লাগতো । একটা সময় তোমার প্রতি ভালোলাগা তৈরি হয়ে যায়। সত্যি বলতে আমি তোমাকে অনেক ভালবেসে ফেলি। আমি মরনব্যাধি ক্যান্সারে ভুগছি। তুমি আমাকে যেদিন Propose করেছ সেদিনের পর আমার হাতে সময় ছিল মাত্র ৭ দিন। তাই আমি তোমার কাছে ৭ দিনের সময় চেয়েছিলাম। আর এই ৭ দিন এখানে এসে দাড়িয়ে থাকতে নিষেধ করেছি এই জন্য যেন এই সাতদিনে আমাকে দেখার আবেগটা তোমার অনেকটা কেটে যায়।
জানো যেদিন তুমি আমাকে Propose করেছো সেই দিনটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। একই সাথে ঐ দিনটাই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বেশি কষ্টের দিন কারন এতো কাছে পেয়েও বলতে পারিনি তোমায় ভালবাসি।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন