লাইফস্টাইল বা জীবনধারা | Lifestyle - খবরের পাতা

ব্রেকিং

Post Top Ad

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

লাইফস্টাইল বা জীবনধারা | Lifestyle

লাইফস্টাইল বা  জীবনধারা | Lifestyle


Lifestyle বা জীবনধারা মানে কি? আমাদের বাস্তবজীবনে এর গুরুত্ব কতখানি?
Life বলতে আমরা জীবনকে বুঝি আর Style বলতে ধরন পক্রিয়া। লাইফস্টাইল বা  জীবনধারা জীবনের সার্বিক দিকই কভার করে।  মানুষ আজীবন যেভাবে নিজেকে পরিচালনা করে সেটাই হচ্ছে তার লাইফস্টাইল।
সহজভাবে চিন্তা করলে লাইফ স্টাইল হচ্ছে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের নিয়ম বা অভ্যাসগুলোর একটা সমষ্টি। আমাদের প্রতিদিনের কাজ ও অভ্যাসের ওপর ভিত্তি করেই আমাদের জীবনধারা বা লাইফস্টাইল বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয়। সবার প্রতিদিনের কাজ ও অভ্যাসগুলো যেমন ভিন্ন ভিন্ন তেমনি সবার লাইফস্টাইলও ভিন্ন ভিন্ন। এর মধ্যে আছে জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতে খাদ্যগ্রহণ ও আনুষঙ্গিক প্রয়োজনগুলো পূরণের বিষয়, রয়েছে মানুষের মনোজগতে বদ্ধমূল বিশ্বাস ও সেই বিশ্বাসের আলোকে কর্মের ধরন। 

জীবন ধারণের জন্য মানুষের কিছু মৌলিক প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের শরীরের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ঠিক রাখার পেছনে আমাদের লাইফস্টাইলের অনেক বড় ভুমিকা রয়েছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার অভ্যাস, সঠিক সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস ;  এসব নানা অভ্যাসের চর্চা করার সাথে সাথেই এই অভ্যাসগুলো আমাদের লাইফস্টাইলে প্রভাব ফেলে ও একটি স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল গঠনে সহায়তা করে। একটি স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল'ই পারে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে। 

শিক্ষাক্ষেত্র হোক বা কর্মক্ষেত্র যেকোনো ক্ষেত্রেই সফলতা নির্ভর করে কাজ ও কাজকে গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে।শিক্ষাক্ষেত্রে সফল হতে হলে প্রয়োজন সময়মতো ও নিয়মমাফিক পড়াশোনা ও তার পাশাপাশি মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা।
এভাবে প্রকৃতি ও সমাজ-সংস্কৃতির ভেতর মানুষ যে জীবন যাপন করছে সেটাই তার লাইফস্টাইল বা জীবনধারা।


জীবনকে সুন্দর ও সুস্বাস্থ্যকর রাখতে আমাদের কিছু সাধারণ লাইফস্টাইল বা  জীবনধারা অনুসরণ করা উচিৎঃ

রাগ বা উত্তেজনা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। মানসিক চাপে থাকলে বা রেগে গেলে, শরীরে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, এতে শরীরের ক্ষতি হয়। অত্যধিক মানসিক চাপ শরীরের ক্ষতি করে তাই চাপ না নিয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজুন।

বিশ্বের বিভিন্ন স্বাস্থ্য গবেষণা বলছে, তামাক ব্যবহার মৃত্যুর বড় কারণ। তাই ধূমপান সহ যেকোন ধরনের তামাকজাত দ্রব্য এবং নেশাজাত দ্রব্য/পানীয় সেবন ত্যাগ করা উচিৎ।

কম ঘুম বা অতিরিক্ত ঘুম দুটোই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। পর্যাপ্ত ঘুম দেহ-মনকে সতেজ রাখে। বিজ্ঞানীরা বলেন; দৈনিক ঘুম ছয় ঘণ্টার কম নয়, আবার নয় ঘণ্টার বেশিও নয়।

দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন আনুন, যা শরীর ও মনের জন্য ভালো। জীবনের ছোট ছোট পরিবর্তন গুলোকে গুরুত্ব দিন।


পরিশেষে;
লাইফস্টাইল বা  জীবনধারা শুধুমাত্র দু-একটা বিষিয়ের ওপর নয়,বরং আমাদের জীবনের দৈনন্দিন প্রতিটি কাজের ওপর নির্ভর করে। সকল ভালো অভ্যাস আমাদের লাইফস্টাইলকে সুগঠিত ও মার্জিত রাখতে প্রধান ভূমিকা রাখে। ভুল জীবন ধারন প্রক্রিয়ার কারণে কঠিন-কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। দেখা দিচ্ছে শারীরিক ও মানসিক বিপর্যয়।
একটি সুশৃঙ্খল ও সুন্দর লাইফস্টাইলই পারে আমাদের জীবনকে সতেজ ও সুন্দর রাখতে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad