মেদ কমানো খুব কঠিন কাজ নয়। একটু ইচ্ছে আর সামান্য ধৈর্য থাকলেই প্রাকৃতিকভাবে কমানো তা সম্ভব। আর তা যদি করা যায় ঘরোয়া উপায়ে তাহলে তো মন্দ হয় না।
চলুন শুরু করি ==>
১. তালিকা তৈরি করুনঃ
যেদিন থেকে ওজন কমাবেন বলে মন স্থির করবেন, সেদিন প্রথমেই কী কী খাবেন এবং কখন খাবেন, কি কি করবেন তার একটা তালিকা বানিয়ে নিন।
২. গ্রিন টিঃ
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৪ কাপ গ্রিন টি পান করলে প্রতি সপ্তাহে অতিরিক্ত চারশত ক্যালরি পর্যন্ত ক্ষয় করা সম্ভব। 'গ্রিন টি' তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি আমাদের দেহের ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন গ্রিন টি অবশ্যই পান করুন।
৩. মসলাদার খাবারঃ
শুধু সেদ্ধ করা খাবার কখনই খাবেন না। মসলা জাতিয় যেমন—হলুদ, ধনে, জিরে গুঁড়া ইত্যাদি মসলাগুলোকে সবসময় খাদ্য তালিকায় রাখুন। কারণ, এ মসলাই আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
৪. পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। পানি পানের কারণে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দিতে সক্ষম করে।
৫. চিনিকে না বলুনঃ
চিনি খাওয়া একেবারে ছেড়ে দিন। এক চা চামচে মোট ১৬ % ক্যালরি থাকে। তাই চা বা দুধের সাথে কখনোই চিনি দিয়ে খাবেন না।
৬. ছোট খিদায় পপকর্ন খানঃ
যখনই খিদে পাবে, তখনই পপকর্ন খেতে পারেন। এটি কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। তাই মেদ হওয়ার ঝুঁকি কম।
৭. ছোট প্লেটে খানঃ
প্লেট বদ;লে ফেলুন। যে প্লেটে খাবার খান, তার থেকে ছোট প্লেটে খান। এতে মনে হবে বেশি খেয়ে ফেলছেন। তাই কম খাবার খেতে শুরু করবেন।
৮. খাওয়ার সময় আস্তে আস্তে খানঃ
খাবার জলদি না খেয়ে আস্তে আস্তে খান। এতে আপনার পেট ঠিকঠাকভাবে ভরবে। যদি খুব বেশি তাড়াহুড়ো করে খান, তাহলে প্রয়োজন থেকে অনেক বেশি খাবার খেয়ে ফেলতে পারেন।
৯. তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খেয়ে নিনঃ
যত আগে সম্ভব রাতের খাবার খেয়ে নিন। কারণ, রাতে খাবার খেয়েই শুয়ে পড়লে মুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর রাতে যদি খিদে পায় তখন এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন।
১০. ফোনে ঘুরে কথা বলুনঃ
ফোনে কথা কথা বলার সময় একটা জায়গায় বসে কথা না বলে দাঁড়িয়ে ঘুরে ঘুরে কথা বলুন। এইভাবে ১০ মিনিটে ৩৬ শতাংশ ক্যালরি নষ্ট করতে পারবেন।
১১. বাড়ীর কাজ করুনঃ
বাড়ীর কাজ করুন। যেমন, ঘর মুছলে সবচেয়ে থেকে বেশি ক্যালরি ক্ষয় করা যায়। এভাবে ৪২ শতাংশ ক্যালরি নষ্ট করা সম্ভব।
১২. জগিং করুনঃ
বাইরে দৌড়াতে যেতে না পারলে নিজের ঘরের মধ্যেই জগিং করতে পারেন।
এছাড়াও জাঙ্ক ফুড, বাইরের খাবার, অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করুন। যথাসম্ভব ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান। দৈহিক সৌন্দর্যকে অটুট রাখতে বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলুন। নিজেকে সুন্দর ও ফিট রাখতে সব সময়ই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।
*ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন