ব্যাচেলর উপাখ্যান -২ || মেস লাইফ
ইমরান ইভান
ব্যাচেলরদের জীবন এক আশ্চর্য বৈচিত্রময় জীবন।
তাদের নিজস্ব রিতি আছে নিজস্ব ঢং আছে।
আছে জীবনের কিছু স্বকীয়তা।
নারী বিবর্জিত পরিবার বিহীন তাদের আছে নিজস্ব একটা সংসার। তারা তাদের সংসারটা সাজিয়ে নেয় নিজেদের মত করে।
এই সংসারটা যেমন অদ্ভুদ তেমনি অদ্ভুদ এই সংসারের ব্যবহার্য জিনিসপত্র গুলো।
ব্যাচেলরদের কাপড় রাখার কমন একটা আলনা আছে আর সেটা হচ্ছে চেয়ারের হাতল।
ব্যাচেলরদের আর কিছু থাকুক আর না থাকুক একটা টিনের ট্রাঙ্ক থাকবেই। এই টিনের ট্রাঙ্কটাই তাদের আলমারি এবং ওয়াড্রব।
সবচেয়ে মজার ঘটনা ঘটে যখন ব্যাচেলর মেসে গেস্ট আসে। সবাই একসাথে বসে খাবে কিন্তু গেস্ট আসাতে প্লেটের অভাব পড়েছে। তখন পাতিলের ঢাকনা’ই হয়ে যায় খাবার প্লেট।
কফি খাবে কিন্তু কাপ নেই, এটা কোন সমস্যাই না। কোকের বোতল কেটে অথবা ফোম কিংবা বডি স্প্রে এর মোখ কে কাপ বানিয়ে আরামসে চলে কফি খাওয়া।
ব্যাচেলরদের সিগারেটের এ্যাস ট্রে গুলো হয় চমৎকার রকমের। খালি ম্যাচ অথবা খালি সিগারেটের প্যাকেট। খালি বোতল অথবা কোন কৌটার মুখ। অনেক সময় এসব কিছু খুঁজে না পেলে হাতের কাছে থাকা পানি খাওয়ার মগটা হয়ে যায় সিগারেটের এ্যাস ট্রে।
রাতে ঘুমানোর সময় গেস্টের জন্য অতিরিক্ত বালিশ নেই! ব্যাপার না, সিস্টেম জানা আছে। লুঙ্গী বা পেন্টের ভেতর পুরনো কাপড় ঢুকিয়ে অথবা বই দিয়ে বানিয়ে ফেলে আরামদায়ক বালিশ।
এছাড়াও ব্যাচেলরদের ব্যবহার্য আরো অনেক অদ্ভুদ অদ্ভুদ জিনিস আছে।
আপনার জানা এমন জিনিস গুলো কমেন্টে জানান।
এই অদ্ভুদ জীবন নিয়েই তারা অদ্ভুদ রকমের খুশি।
তারা সবকিছুতেই জীবনের আনন্দ খুঁজে নেয়।
ব্যাচেলর লাইফ এক অদ্ভুত জীবন।
এটা উপভোগ করার ধৈর্য এবং শক্তি একমাত্র ব্যাচেলরদেরই আছে।।
সুন্দর লাগলো, মাসের শেষের দিকে ব্যাচেলরদের করুণ পরিণতি সম্পর্কে কিছু বলবা নাহ...!!🥰🥰
উত্তরমুছুন