ব্যাচেলর উপাখ্যান - ১ - খবরের পাতা

ব্রেকিং

Post Top Ad

রবিবার, ৯ মার্চ, ২০২৫

ব্যাচেলর উপাখ্যান - ১

ব্যাচেলর উপাখ্যান - ১ | মেস লাইফ
(এক অন্ধ কবি)

bachelor lyfe story


কী যাতনা বিষে,

বুঝিবে সে কিসে,
কভূ আশীবিষে,
দংশেনি যারে।

বি এখানে বুঝাতে চেয়েছেন যে একজন মানুষ কখনোই অন্যের কষ্টটা অনুধাবন করতে পারবেনা
যদি না সেও কোনদিন একই ধরনের কোন কষ্ট পেয়ে থাকে।
তেমনি ব্যাচেলর ছাড়া ব্যাচেলরদের কষ্টটা অন্যকেউ কোনদিন Feel করতে পারবেনা।
আমি আমার ব্যাচেলর উপাখ্যানে হাসি-আনন্দ, দুঃখ-ব্যাথার মাঝে ব্যাচেলরদের
জীবনের গল্প তুলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছি। জানিনা সবাই ব্যাচেলরদের জীবনের এই
চাপা কষ্ট আর দৃশ্যমান আনন্দের গল্পগুলো মন দিয়ে অনুধাবন করতে পারবে কিনা।

আপনি কখনোই একজন ব্যাচেলরকে মন খারাপ হতে দেখবেননা। তারা সবসময়ই
হাস্যজ্জল থাকে। আমি একজন ব্যাচেলর হয়েও কোনদিন কোন ব্যাচেলরকে কাঁদতে
দেখিনি। আপনারা কিভাবে দেখবেন।
তাহলে কি আপনি তাদের অনুভূতিহীন বলবেন? অসম্ভব!
অন্তর্যামী তাদেরকে মানিয়ে নেওয়ার এক অসীম ক্ষমতা দিয়েছেন।
এক হাঁসিতেই তারা জীবনের সকল সমস্যা আর কষ্ট উড়িয়ে দিতে পারে।

মেসে বুয়া না আসলে অপটু হাতে লবন-মসলা কম-বেশি হয়ার রান্নাটা নিজেরাই সেরে নিতে পারে।
মাসের শেষ দিকে মেসে টাকার অভাবে বাজার না হলে, বিকেল চারটা পর্যন্ত ঘুমিয়ে দুই বেলার
খাবার বাঁচিয়ে দিতে পারে। কারণ হোটেলে খাবারের জন্য টাকা ব্যাচেলরদের পকেটে সবসময় থাকেনা। অন্যরা'তো শুধু ভাবে হায় সর্বনাশ! কি অলস মানুষরে বাবা! বিকেল চারটা পর্যন্ত ঘুম!
সারাদিনের ক্ষিদেটা নিয়েও সন্ধ্যার আড্ডাটা তারা ঠিকই জমিয়ে ফেলতে পারে।
যদিও সে নিশ্চিত না যে রাতের খাবারটা খাওয়া হবে কিনা।

জ্বর উঠলে ব্যাচেলররা নিজের মাথাই নিজেই পানি ঢালতে পারে। নিজেই পারে নিজের সেবা- শুশ্রূষা
করতে। কারণ, শুয়ে থাকা অসুস্থ মানুষটার সেবা করার মত কেউ নেই।
অসুস্থ শরীর নিয়েই সে এক বালতি কাপড় ধুয়ে ফেলতে পারে অনায়াসে। একটা সংসারের নারী-পুরুষের সম্মিলিত কাজ তারা একাই চালিয়ে যায়।
আপনারা'তো বলবেন, ব্যাচেলররা সবসময় অগোছালো থাকে। একটা গোছালো জীবনের জন্য
যা যা দরকার তার অনেক কিছুই ব্যাচেলররা পায়না।

একজন ব্যাচেলর যার বাইরে থাকতে হচ্ছে একটা সাজানো পরিবার থেকে।
একজন ব্যাচেলর যে সবসময় বঞ্চিত হয়ে আসছে মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ থেক, বাবার শাসন থেকে, বোনের মায়া-মমতা থেকে, ভাইয়ের আদর থেকে। বঞ্চিত হয়ে আসছে তাদের হাসি-আনন্দ,
দুঃখ -ব্যাথা, ভাল লাগা মন্দ লাগা পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়া থেকে।

তবুও তাদের মন খারাপ হয়না। তারা কষ্ট পায়না। তারা কাঁদেনা।
তারা ব্যাচেলর।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad